"মেয়েরা কখন বিয়ের উপযুক্ত হয়" — এই প্রশ্নের উত্তর কিছু দিক থেকে বিবেচনা করা যায়:
-
শারীরিক দিক:
সাধারণভাবে, মেয়েদের শারীরিকভাবে পূর্ণবয়স্ক বা প্রজননক্ষম ধরা হয় মাসিক শুরু হওয়ার কিছু বছর পর। তবে শুধু শারীরিক পরিপক্বতা বিয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। WHO (World Health Organization)-এর মতে, ১৮ বছরের আগে বিয়ে করলে মেয়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় (মাতৃত্বকালীন জটিলতা ইত্যাদি)। তাই, শারীরিকভাবে সুস্থভাবে গর্ভধারণ ও সংসার পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সের পর বিয়ে করা নিরাপদ ধরা হয়। -
মানসিক ও আবেগিক দিক:
বিয়ে মানে শুধু শারীরিক সম্পর্ক নয়, বরং দায়িত্ব, বোঝাপড়া এবং আবেগিক পরিপক্বতার ব্যাপার। মানসিক পরিপক্বতা সাধারণত কিশোরী বয়স পেরিয়ে ১৮-২৫ বছরের মধ্যে ভালোভাবে বিকশিত হয়। তাই মেয়ে মানসিকভাবে নিজেকে গঠন করে, নিজের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হলে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়। -
সামাজিক ও আইনি দিক:
বেশিরভাগ দেশে (বাংলাদেশসহ) মেয়েদের আইনি বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। এর আগে বিয়ে করা আইনত অবৈধ এবং সামাজিকভাবেও নিরুৎসাহিত করা হয়। -
শিক্ষা ও আর্থিক দিক:
বর্তমানে মেয়েদের পড়াশোনা, ক্যারিয়ার গঠন এবং নিজস্ব আত্মনির্ভরতা অর্জনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। মেয়েরা যখন নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে, নিজের ইচ্ছা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতন হয়, তখন তারা বাস্তবিক অর্থে বিয়ের জন্য উপযুক্ত হয়।
সংক্ষেপে বললে:
মেয়েরা যখন শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং ব্যক্তিগতভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয় এবং ন্যূনতম বয়স (১৮ বছর বা তার বেশি) পার করে, তখন তাকে বিয়ের উপযুক্ত বলা যায়।
চাইলে আমি আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারি — যেমন, বিভিন্ন দেশের বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়ে কী বলা হয়েছে। জানতে চান? 🌸
0 Comments