নারীদের বুক ফুটে তো মুখ ফুটে না কেন

 

আপনার প্রশ্নটি একটি জনপ্রিয় বাংলা প্রবাদ বা কথার ধাঁচে তৈরি – "বুক ফুটে তো মুখ ফুটে না"। এটি অনেক সময় মেয়েদের বা নারীদের নিরবতা বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। নিচে ব্যাখ্যা করছি কেন এমন বলা হয়ে থাকে:

১. সমাজের চাপ ও লজ্জা:

অনেক নারীকেই ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় — “মেয়েদের চুপচাপ থাকতে হয়”, “তর্ক করো না”, “মেয়ে হয়ে এত কথা বলা ঠিক না”। ফলে তাদের মনের কথা বুকের ভিতরে জমে থাকলেও মুখে প্রকাশ করতে সাহস পায় না।

২. ভয় বা নিরাপত্তাহীনতা:

অনেক নারী ভয় পায়, যদি কথা বলে তাহলে হয়তো তাকে অপমান করা হবে, কেউ গুরুত্ব দেবে না, কিংবা আরও সমস্যায় পড়তে হবে। তাই তারা চুপ করে থাকে।

৩. আত্মবিশ্বাসের অভাব:

বহু নারীই মনে করেন তাদের মত বা অনুভব “গুরুত্বহীন”। সমাজ যেভাবে নারীদের দমন করে, তাতে নিজের মত প্রকাশ করার সাহস ও আত্মবিশ্বাস কমে যায়।

৪. বুকের ব্যথা মুখে আসে না:

“বুক ফাটা কষ্ট” অনেক সময় তারা সহ্য করে যায়, কারণ প্রকাশ করলেও কেউ বুঝবে না – এমন ধারণাও অনেকের থাকে।


তবে মনে রাখতে হবে:

সব নারী এখন আর চুপচাপ থাকে না। অনেকেই এখন নিজের মত স্পষ্টভাবে বলছেন, অধিকার আদায় করছেন, সাহস করে মুখ ফুটে কথা বলছেন। সময় বদলাচ্ছে, নারীর কণ্ঠও এখন অনেক উচ্চারিত হচ্ছে।


আপনি চাইলে এই প্রবাদটিকে নিয়ে কবিতা, সংলাপ বা গল্প তৈরি করে দিতে পারি। বললেই দিচ্ছি।

Post a Comment

0 Comments