নারীদের কি মুসলমানি করা হয়

 নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত "মুসলমানি" বা "খতনা" (Circumcision) ইসলামী শরীয়তের কোনো ফরজ বা আবশ্যক বিষয় হিসেবে নির্ধারিত নয়, যেমনটি পুরুষদের জন্য আছে।

তবে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এবং কিছু নির্দিষ্ট মুসলিম সম্প্রদায়ে নারীদের খতনা প্রচলিত রয়েছে। এটি মূলত সাংস্কৃতিক রীতির অংশ, ধর্মীয় ফরজ নয়। ইসলামি শরিয়ায় নারীদের খতনা নিয়ে আলেমদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে:

ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি:

  • হাদিসে কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়: যেমন একটি হাদিসে রাসূল (সা.) একজন নারী খতনা করনকারিণীকে বলেছিলেন: “কাটো, তবে মাত্রা রেখে করো।” (আবু দাউদ)

    • তবে এই হাদিসটি দুর্বল (দঈফ) বলে বিবেচিত।

  • ফিকহ মতে ভিন্নতা আছে:

    • হানাফি ও মালিকি মাজহাবে: নারীদের খতনা সুন্নত বা আবশ্যক নয়।

    • শাফেয়ি মাজহাবে: একে ওয়াজিব বা আবশ্যক বলা হয়েছে, তবে অনেক আধুনিক আলেম এটিকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে দেখেন।

    • হাম্বলি মাজহাবে: সুন্নত বলা হয়েছে।

আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি:

  • আজকের দিনে নারীদের খতনা বিষয়টি স্বাস্থ্যঝুঁকি, মানবাধিকার, এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা হিসেবে দেখা হয় যদি তা জোরপূর্বক বা ক্ষতিকর হয়।

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একে Female Genital Mutilation (FGM) হিসেবে নিন্দা করে এবং এটি বন্ধ করার আহ্বান জানায়।

সারসংক্ষেপ:

  • ইসলামে নারীদের মুসলমানি (খতনা) ফরজ নয়।

  • কিছু সংস্কৃতি ও মাজহাবে এটি প্রচলিত থাকলেও তা বাধ্যতামূলক নয়।

  • আধুনিক ইসলামিক স্কলারদের অনেকেই এটিকে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা হিসেবে গণ্য করেন না।


Post a Comment

0 Comments