সহবাস করার পর গর্ভধারণ হবে কি না, তা মূলত ঐ নারীর মাসিক চক্রের (Menstrual Cycle) ওপর সম্পূর্ন নির্ভর করে। সাধারণভাবে বললে, ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে ডিম্বস্ফোটনের (Ovulation) সময়, অর্থাৎ যেদিন ডিম্বাণু বের হয়েছে।
তবে কখন সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম হয়ে থাকে, তা বোঝার জন্য কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো:
✅ মাসিক চক্রের গড় ধরন ( মোট ২৮ দিন):
-
ডিম্বস্ফোটন সাধারণত ১৪তম দিনে হয়ে থাকে।
-
ডিম্বস্ফোটনের ৫ দিন আগে ও পরের দিনগুলো সবচেয়ে fertile (গর্ভধারণের ঝুঁকি বেশি হয়ে থাকে)।
-
মাসিকের প্রথম ৫–৭ দিন ও শেষের ৫–৭ দিন তুলনামূলকভাবে কম থাকে fertile, অর্থাৎ এই সময়ে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক কম হতে পারে।
✅ যদি মাসিক চক্র অনিয়মিত হয়:
তাহলে এই পদ্ধতিতে নির্ভর করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
🔹 বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এই সময়ে সহবাস করলে:...
-
মাসিক শুরু হওয়ার পর ঠিক পরের কয়েক দিন (দিন ১ –৭)।
-
মাসিক শেষ হওয়ার পর থেকে চক্রের শেষের দিক (দিন ২১–২৮)।
⚠️ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা রয়েছে:
-
মাসিক চক্র ভিন্ন ভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে।
-
কখনো কখনো বা অনেক সময় ডিম্বস্ফোটন এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে।
-
শুক্রাণু ৫ দিন পর্যন্ত নারীর শরীরে বেঁচে থাকতে পারে।
তাই “নির্দিষ্ট দিনে সহবাস করলে একেবারে বাচ্চা হবে না” এমন নিশ্চয়তা কখনো নেই।
✅ যদি গর্ভধারণ এড়াতে চান:
বিশ্বাসযোগ্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (কনডম, পিল, কপার-টি) ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু “Safe Period” নির্ভর করা যথেষ্ট নয়।
লিখাটি ভালো লাগলে একটি লাইক ও কমেন্ট করে যান।
0 Comments