ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৫ প্যানেলে

                                      


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ২০২৫: প্যানেল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দীর্ঘদিন পর ২০২৫ সালে আবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে, কারণ এই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক উভয় দিকেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


🗳️ কতটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে?

২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচনে মোট ৭টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর পাশাপাশি কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

অংশগ্রহণকারী প্রধান প্যানেলগুলো হলো—

  1. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ – ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন।

  2. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) – বিএনপি-ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠন।

  3. ইসলামী ছাত্র শিবির – ইসলামী ছাত্র সংগঠন।

  4. গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্য – বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সমন্বিত প্যানেল।

  5. বাম ছাত্র জোট – সমাজতান্ত্রিক ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।

  6. স্বাধীনতা ছাত্র ফোরাম – মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী একাধিক সংগঠনের সমন্বিত গ্রুপ।

  7. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ – শিক্ষার্থীদের অধিকার, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে গঠিত প্যানেল।

এ ছাড়া কিছু জনপ্রিয় শিক্ষার্থী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন পদে লড়াই করছেন।


🎯 মোট আসন সংখ্যা

  • ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে ২৬২টি পদে ভোট হবে।

  • এর মধ্যে ডাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে রয়েছে ২৫টি পদ, বাকি পদগুলো বিভিন্ন হল সংসদের জন্য।


🔍 কেন এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ?

  1. দীর্ঘ বিরতি শেষে আয়োজন
    সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। এরপর প্রায় ৬ বছর পর নতুন নির্বাচন হচ্ছে।

  2. শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা
    ছাত্ররা আশা করছে, এবারের নির্বাচনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে।

  3. নারী নেতৃত্বের উত্থান
    এবারের নির্বাচনে কয়েকটি প্যানেল নারী প্রার্থীর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে, যা নতুন ধারার সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

  4. ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা
    কোন প্যানেল জয়ী হয় তার ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির ধারা কোন দিকে যাবে।


⚖️ চ্যালেঞ্জ ও বিতর্ক

  • নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা: অতীতে ডাকসু নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এবারের নির্বাচনেও সেই ভয় রয়ে গেছে।

  • নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন: নির্বাচনী কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।

  • ছাত্রদের আস্থা: শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে প্রকৃত শিক্ষার্থীর স্বার্থ রক্ষা করা দরকার।


✅ উপসংহার

ডাকসু নির্বাচন শুধু একটি ক্যাম্পাসভিত্তিক নির্বাচন নয়, বরং বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির সঙ্গেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৭টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে, পাশাপাশি রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, এই নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত—যেখানে প্রকৃত অর্থে তাদের মতামত প্রতিফলিত হবে।



Post a Comment

0 Comments