ঢাকা বিমানবন্দর (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর)–এর রানওয়ের পাশে বিল্ডিং বানানো বিপদজনক হওয়ার কারণগুলো হলো:
✈️ ১. বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ঝুঁকি
-
বিমানের উড্ডয়ন (Take-off) ও অবতরণ (Landing) করার সময় রানওয়ের আশেপাশের জায়গা সবচেয়ে স্পর্শকাতর।
-
এই সময় বিমান অনেক নিচে থাকে, তাই উঁচু বিল্ডিং থাকলে বিমানের সাথে ধাক্কা লাগতে পারে।
-
রাতে বা কুয়াশায় পাইলটরা ভুল হিসাব করে দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন।
🌍 ২. আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন
-
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা ICAO-র নিয়ম অনুযায়ী রানওয়ের দু’প্রান্তে এবং আশেপাশে নির্দিষ্ট উচ্চতার বেশি কোনো স্থাপনা বানানো যাবে না।
-
ঢাকায় (বা যেকোনো বিমানবন্দরে) এই নিয়ম না মানলে সেটা আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলের অনুমতিতে প্রভাব ফেলে।
🔊 ৩. শব্দ দূষণ ও স্বাস্থ্য সমস্যা
-
বিমানের ইঞ্জিন থেকে প্রচণ্ড শব্দ হয় (প্রায় ৯০–১২০ ডেসিবেল)।
-
রানওয়ের খুব কাছাকাছি বিল্ডিং হলে বাসিন্দারা শব্দ দূষণ, মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, এমনকি শ্রবণশক্তি ক্ষয়–এর ঝুঁকিতে থাকেন।
🛠️ ৪. কম্পন ও অবকাঠামোগত ক্ষতি
-
বড় বিমানের ওঠানামার সময় প্রচণ্ড কম্পন সৃষ্টি হয়।
-
দীর্ঘমেয়াদে এসব কম্পনে বিল্ডিংয়ের ভিত্তি দুর্বল হয়ে ফাটল ধরতে পারে।
🔥 ৫. দুর্ঘটনার সময় মারাত্মক বিপদ
-
বিমান দুর্ঘটনা সাধারণত রানওয়ের কাছে বা অ্যাপ্রোচ এলাকায় ঘটে।
-
আশেপাশে ঘনবসতিপূর্ণ বিল্ডিং থাকলে সেই দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়, অনেক মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন।
⚖️ ৬. আইনি ঝুঁকি
-
রানওয়ের পাশে উচ্চতর ভবন নির্মাণ করা অবৈধ বা সীমিত অনুমোদিত।
-
তাই এসব বিল্ডিং যেকোনো সময় সরকারি উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হতে পারে—যার ফলে মালিকদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে।
👉 সংক্ষেপে:
রানওয়ের পাশে বিল্ডিং মানে নিরাপত্তার ঝুঁকি + স্বাস্থ্য সমস্যা + আর্থিক ক্ষতি + আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন। এজন্য পৃথিবীর সব বিমানবন্দরেই “অ্যাপ্রোচ এরিয়া” নামে সুরক্ষা এলাকা রাখা হয় যেখানে উঁচু বিল্ডিং, টাওয়ার বা গাছপালা পর্যন্ত সীমিত রাখা হয়।
0 Comments